Sunday, March 10, 2024

আপনার মোবাইল ফোনটি অবৈধ কি-না, যাচাই করবেন যেভাবে

SHARE

আপনার মোবাইল ফোনটি অবৈধ কি-না, যাচাই করবেন যেভাবে

দেশে আনঅফিসিয়াল (অবৈধ) আনা মোবাইল ফোনগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে অফিসিয়াল (বৈধ) মোবাইল ফোনগুলো দেশে ব্যবহার করা যাবে বলে জনিয়েছে বিটিআরসি।

মূলত বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করতে এবং অবৈধভাবে তৈরি বা আমদানিকৃত ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জুলাই থেকে দেশজুড়ে অনিবন্ধিত ফোন নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এই অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ফোনটি অফিসিয়াল কি-না তা নিশ্চিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

 অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কী

যে মোবাইল ফোনগুলো দেশে প্রবেশকালে যথাযথ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন নিয়ে থাকে, সেগুলোই অফিসিয়াল ফোন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিটি ফোনের বডিতে তাদের স্ব স্ব নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ অঙ্কের একটি অনন্য সংখ্যা লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়, যাকে আইএমইআই (ইন্টার‍ন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) বলা হয়।

আইনগতভাবে দেশে প্রবেশের সময় এই সংখ্যাটি সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। তাই এগুলোকে একইসঙ্গে অরিজিনাল এবং নিবন্ধিত ফোন বলা হয়ে থাকে। দেশের ভেতরে সরকারি নিয়ম মেনে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স এবং অভিবাসনের নানাবিধ খরচের কারণে স্বভাবতই এই ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।

New Earning Tips From Tiktok 2024 | টিকটকে আয়ের নতুন সুযোগ

অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি বা দেশের ভেতরেই উৎপাদন করার সময় ভ্যাট বা ট্যাক্সের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। অবিকল অরিজিনাল ফোনের মতো দেখতে হলেও নকল এই ফোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম থাকে। সরকারি ডাটাবেসে কোনো তথ্য না থাকায় অনিবন্ধিত এই ফোনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন বন্ধ হলে যেসব বিড়ম্বনায় পড়বেন

অনিবন্ধিত বা আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনগুলোকে নেটওয়ার্ক বহির্ভূত করা হলে সেই ফোন ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হবে। যেমন-

  • এই ফোনে কোনো সিম ভরে তার মাধ্যমে কোনো অপারেটর থেকে কল গ্রহণ বা কল প্রদান করা যাবে না
  • কোনো ধরনের মেসেজ আদান-প্রদান করা যাবে না
  • ডাটা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না
  • সরকারি বা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি কোনো ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং, ও টাকা লেনদেনসহ কোনো ধরনের অ্যাপই ব্যবহার করা যাবে না

এগুলো বাদে নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত নয়, যেমন; ছবি তোলা, অডিও বা ভিডিও রেকর্ড করা, গান বা মুভি দেখাতে কোনো রূপ সমস্যা হবে না।

ব্রডব্যান্ড কেবল ইন্টারনেট সংযোগ থেকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করাতে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না। এভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রসিদ্ধ যোগাযোগ অ্যাপ ব্যবহার করে কল বা ম্যাসেজ করা যাবে। অবশ্য এটি শুধুমাত্র ঘরবাড়ি, দোকান, অফিসের মতো নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় এভাবে যোগাযোগের কোনো উপায় থাকছে না।

বিটিআরসি আইএমইআই নম্বর দিয়ে অফিসিয়াল ফোন যাচাই পদ্ধতি

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে

আইএমইআই নম্বরটি ধরন নির্বিশেষে প্রতিটি ফোনের জন্যই আলাদা হয়ে থাকে। কোনো ফোন অরিজিনাল কি-না তা যাচাইয়ের জন্য প্রধান মাপকাঠি হচ্ছে এই ১৫ অঙ্কের সংখ্যা। এই কোডটি খুঁজে বের করা সম্ভব হলে ফোনের ধরন বোঝার বাকি কাজটুকু খুব সহজে করা যাবে। তাই চলুন, জেনে নেই কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই সংখ্যাটি খুঁজে পাবেন-

অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকরা এই অনুসন্ধানটি দুইভাবে চালাতে পারেন:

১। মোবাইল ফোনের কিপ্যাড থেকে *#০৬# ডায়াল করলে সঙ্গে সঙ্গেই স্ক্রিনে দেখা যাবে আইএমইআই নম্বরটি।

২। ফোনের সেটিংস থেকে অ্যাবাউট ডিভাইস-এ যেতে হবে। অতঃপর স্ট্যাটাস-এ ক্লিক করলেই স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নম্বরটি দেখা যাবে।

আইএমইআই নম্বর যাচাই করার নিয়ম

এবার পিসি (পার্সনাল কম্পিউটার) বা স্মার্টফোন যে কোনো ডিভাইস থেকে যে কোনো ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম বা মজিলা) ওপেন করে সার্চ বক্সে imei.info লিখে সার্চ করতে হবে। ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশের পর পরই একটি ডায়ালগ বক্স সামনে আসবে। তাতে সেই আইএমইআই কোডটি লিখে চেক-এ ক্লিক করলেই কাজ শেষ।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে একে একে প্রদর্শিত হতে থাকবে ফোনের সমস্ত তথ্য। আর এটিই নিশ্চিত করবে যে, ফোনটি অফিসিয়াল। আর ফোনের তথ্য না দেখিয়ে ভিন্ন কিছু দেখানো মানেই তা আনঅফিসিয়ালের দিকে নির্দেশ করছে।

আইফোনের ক্ষেত্রে

অ্যান্ড্রয়েডের যেটি আইএমইআই আইফোনে সেটিই সিরিয়িাল নম্বর। এটি ফোন সেটের সিম কার্ড স্লটে অনায়াসেই খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া সেট খুলতে না চাইলে সেটিংস অ্যাপ থেকে জেনারেল অপশনে পাওয়া যাবে অ্যাবাউট সেকশন। সেখানেই পাওয়া যাবে আইফোনের কাঙ্ক্ষিত সিরিয়াল নম্বর।

এবার মোবাইল বা পিসিতে সাফারি বা যে কোনো ব্রাউজার খুলে সরাসরি চলে যেতে হবে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে। তারপর স্ক্রিনে দেখানো ডায়লগ বক্সে সিরিয়াল নম্বরটি প্রবেশ করিয়ে চেক-এ ক্লিক করলেই বাকি কাজটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হয়ে যাবে।

আইফোন আনঅফিসিয়াল হলে স্ক্রিনে বার্তা দেখাবে “অবৈধ সিরিয়াল নম্বর”। আর যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে আইফোনটি অফিসিয়াল।

এসএমএস করে অফিসিয়াল ফোন যাচাই

প্রথমে সরাসরি চলে যেতে হবে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে। অতঃপর মাঝে কোনো স্পেস না রেখে টাইপ করতে হবে KYD। তারপর একটি স্পেস-এর পর একসঙ্গে প্রবেশ করাতে হবে সম্পূর্ণ আইএমইআই সংখ্যাটি। মোবাইলের কিপ্যাড দিয়ে টাইপ করার পর স্ক্রিনে এসএমএসটি এরকম দেখাবে- KYD 123456789098765।

সঠিকভাবে লেখা হলে এসএমএসটি ১৬০০২ নাম্বারে পাঠিয়ে দিতে হবে। এসএমএসটি প্রেরণ সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতি ম্যাসেজে নিশ্চিত করা হবে- ফোনটি আনঅফিসিয়াল নাকি অফিসিয়াল।

Adsterra vs Monetag কে বেশি CPM দেয় | Adsterra Direct Link Earning 2024


SHARE

Author: verified_user

0 $type={blogger}: