Tuesday, December 19, 2023

নৌকা পেলেও মঞ্জু-মেনন-ইনু নাও আসতে পারেন সংসদে

SHARE

 


নৌকা পেলেও মঞ্জু-মেনন-ইনু নাও আসতে পারেন সংসদে 

আসাদুজ্জামান সম্রাট: [২] মহাজোটের তিনটি দলের প্রধান জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাসদের হাসানুল হক ইনুর পরাজনের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। 

[৩] রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। নিজ জনপ্রিয়তা ও আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় নিজ যোগ্যতায় তিনি এই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারেন। 

[৪] জাসদকে ছেড়ে দেয়া বগুড়া-৪ আসনের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তার আসনে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা শক্তিশালী প্রার্থী এবং তার জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। এই আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। গত উপ-নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরেছিলেন রেজাউল করিম তানসেনের সঙ্গে।

‘অ্যানিমেল’ প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী সিনেমা

[৫] জাসদকে ছেড়ে দেয়া লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এম আব্দুল্লাহ আল মামুন। নির্বাচনে তার জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

[৬] পিরোজপুর-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এক সময়ে তারই এপিএস মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলা নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি সদস্যসহ প্রায় ৮০ ভাগ জনপ্রতিনিধি মহিউদ্দিন মহারাজের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। যেখানে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভিন্ন কোন পন্থা অবলম্বন না করলে এ নির্বাচনে তার পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত।

[৭] বরিশাল-২ আসনটি ওয়ার্কার্স পাটির রাশেদ খান মেননকে ছেড়ে দেয়া হলেও গত দুটি মেয়াদে তিনি ছিলেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য। ওই নির্বাচনী এলাকায় তার কোন যোগাযোগ না থাকলেও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদে তিনি যে দু’টি উপজেলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তার একটি উজিরপুর পড়েছে এই আসনে। অপরদিকে বানারীপাড়ার বাসিন্দা ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল হক রাজু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় তিনি খুব জনপ্রিয় এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তার জন্য কাজ করছেন। ফলে এ আসন থেকে রাশেদ খান মেননের জয়লাভ অনেকটাই অনিশ্চিত।


[৮] জাসদের প্রধান হাসানুল হক ইনুকে কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনটি ছেড়ে দেয়া হলেও এ আসনে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মিরপুর উপজেলা পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফিন। হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও কামরুল আরেফিন নির্বাচন করছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে। তিন মেয়াদে ওই এলাকার এমপি হাসানুল হক ইনুকে নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর এ কারনেই সবাই এক প্রকার জোর করেই কামরুল আরেফিনকে প্রার্থী করেছেন। নির্বাচনে জয়ের পাল্লা অনেকটাই ভারী তার দিকে। 

[৯] বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসানুল হক ইনু। বলেছেন, জোট ছাড় দিলেও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোকাবিলা করে নির্বাচন করা কঠিন হবে। তিনি নির্বাচনের মাঠ থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

সুত্রঃ amadershomoy


SHARE

Author: verified_user

0 $type={blogger}: