ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি-বন্দী বিনিময় শুরু হবে শুক্রবার
কাতারের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলছেন, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে শুক্রবার গ্রীনিচ মান সময় ভোর পাঁচটায়। বিকেল চারটায় প্রথম দফা জিম্মি হস্তান্তর করা হবে। কাতার এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করছে।
মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি দোহায় সাংবাদিকদের বলেছেন, চুক্তির আওতায় গাজার উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হবে। তিনি আরও বলেন চুক্তির আওতায় ইসরাইলে বন্দী কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।
জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল থেকে যাদের অপহরণ করেছিল, তাদের মধ্য থেকে ৫০ জন নারী ও শিশুকে ইসরাইলের হাতে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হবে।
শুক্রবার গাজা থেকে ১৩ জন জিম্মিকে হস্তান্তর করা হবে। এরপর এই অস্ত্র-বিরতি চলাকালে প্রতিদিন দফায় দফায় ৫০ জন জিম্মির বাকিদের হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার যেসব জিম্মি মুক্তি পাবার কথা, ইসরাইল তাদের একটা প্রাথমিক তালিকা পেয়েছে বলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বৃহস্পতিবার ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তির মধ্যস্থতায় সহায়তা করার জন্য কাতারের শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গতকাল ৩০০টি হামাস লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীর ব্যবহৃত টানেল, গুদাম এবং এন্টি ট্যাংক অবস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরাইল বলেছে, হামাসের মুক্ত করা অতিরিক্ত প্রতি ১০ জন জিম্মির জন্য যুদ্ধে চার দিনের বিরতি অতিরিক্ত একদিন করে বাড়ানো হবে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ রেড ক্রস বলেছে, তারা মুক্তির যেকোনো কাজে সহায়তা করতে পারে।
যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের কাছে আরও মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যাবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ধরনের সহায়তা ব্যাপকভাবে হ্রাস করা হয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় ১৭ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে ৯ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ জাতিসংঘের পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।
সুত্রঃ ভয়েস অফ আমেরিকা
0 $type={blogger}: