Friday, November 24, 2023

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গীরা এখন যা ভাবছে

SHARE

 

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গীরা এখন যা ভাবছে


সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এত দিন ৩৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছিল বিএনপি। এর মধ্যে গতকাল বুধবার সমমনা দলের একটি কল্যাণ পার্টি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এখন কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার আন্দোলনের মাঠে অনুপস্থিতি, কারো কারো হঠাৎ আড়াল হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও নানা আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দুই দিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেও জোট শরিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের শঙ্কা নিয়ে আলোচনা হয়।

নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ, জাগপা, এনডিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিভিন্ন মহল আলোচনা চালাচ্ছে। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আগ্রহী করতে সরকারসংশ্লিষ্ট কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও বৈঠক করছেন। গত মঙ্গলবার সৈয়দ ইবরাহিমের বাসায় হওয়া বৈঠকেও এই দলগুলো ছিল। তবে গণঅধিকার ও এনডিপি নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না বলে জানায়।

গতকাল হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সমাবেশে নুরুল হক নুর তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, সরকার রাজনীতির মাঠে আজ কোরবানির হাট বসিয়েছে। এই কোরবানির হাটে রাজনীতিবিদরা গুরু-ছাগলের মতো বিক্রি হচ্ছেন। 

নুর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পঁচাত্তরের বাকশালী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৪ আর ১৮ সালের নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।

জনগণের ভোটের অধিকার নেই, নির্বাচনের পরিবেশ নেই।

এনডিপি সভাপতি আবু তাহের ও মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হারুন গতাকল এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারাই বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করায় সহযোগিতা করবে, তারাই হবে জাতীয় বেঈমান এবং তারাই ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা গতকাল অবরোধের সমর্থনে মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে হুমকি-ধমকি ও লোভ-লালসা দিয়ে বিরোধী শিবির থেকে দু-চারজন নেতাকর্মীকে ভাগিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার অপচেষ্টা করে সরকারের শেষরক্ষা হবে না।

এ ছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনে যাবে না বলে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

ইসলামপন্থী দলের ভাবনা
বিএনপির সঙ্গে সরাসরি যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও রাজনীতির মাঠে এখন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন তাদের সমমনা।

সরকারের বিরুদ্ধে এই দুই দল আন্দোলন করছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট। তবে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা আছে।

ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচনে যাওয়ার কোনো পরিবেশ নেই।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নুরিয়া আশ্রাফাবাদে অনুষ্ঠিত সমমনা ইসলামী দলগুলোর সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করে সমমনা ছয়টি ইসলামপন্থী দল। তারা বলছে, এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশও নেই।

সভায় উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজীজুল হক ইসলামাবাদী ও জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া প্রমুখ।

সুত্রঃ  কালের কণ্ঠ


SHARE

Author: verified_user

0 $type={blogger}: