Tuesday, November 28, 2023

পোস্টার বয়' মিলন পেলেন না জাপার মনোনয়ন

পোস্টার বয়' মিলন পেলেন না জাপার মনোনয়ন

 

পোস্টার বয়' মিলন পেলেন না জাপার মনোনয়ন



ইতিমধ্যে পোস্টার বয় হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাইফুদ্দিন আলম মিলন। রাজধানীজুড়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে ঢাকার অলিতে গলিতে তাকালেই চোখে পড়ে তার পোস্টার। ফলে মানুষ তাকে ডাকেন পোস্টার বয় বলে। 


আলোচিত-সমালোচিত জাতীয় পার্টির এই নেতা এবার মনোনয়ন চেয়েও পাননি জাতীয় পার্টি থেকে।  জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে বিশেষ বিশেষ দিনে ছাপানো পোস্টারে দেখা যায় তার হাস্যোজ্জ্বল মুখ। ফলে জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতাদের ছাপিয়ে তিনি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন বিভিন্ন সময়। 

পোস্টার বয় মিলন এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও কখনো জয় লাভ করতে পারেননি। 

ঢাকা-৭ আসনে জাপার মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। এবার তার জায়গায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তারেক এ আদেলকে। 

এ বিষয়ে মিলন বলেন, জাপার মনোনীত প্রার্থী তালিকায় আমার নাম নেই দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।


সুত্রঃ প্রথম আলো


জাতীয় পার্টি

দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

 

দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা



ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেনের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে দাগনভূঞা পৌর এলাকার আলাইয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আকবরের পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। আকবর হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ভাই। নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে।


গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন আকবর হোসেনের স্ত্রী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহীন আক্তার।


স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে একদল সন্ত্রাসী বাড়িতে প্রবেশ করে তিন-চারটি ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে বাড়িতে বসতঘরের সামনে থাকা আকবর হোসেনের একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বাড়ির কর্মচারী থাকার ঘরে ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।


দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আকবর হোসেনের বাড়িতে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা তিনি শোনেননি। সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তিনি এ ঘটনার কথা জানতে পারেন। তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের দোষারোপ করা অতি সহজ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।


দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেননি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার তুলাতলী বাজার এলাকায় দলীয় একটি মশাল মিছিল শেষ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।


সুত্রঃ প্রথম আলো

ইসলামী আন্দোলনের সংলাপ - সরকারের জুলুম–নির্যাতন বাম ও ডান সবাইকে এক কাতারে এনেছে

ইসলামী আন্দোলনের সংলাপ - সরকারের জুলুম–নির্যাতন বাম ও ডান সবাইকে এক কাতারে এনেছে

 

ইসলামী আন্দোলনের সংলাপ - সরকারের জুলুম–নির্যাতন বাম ও ডান সবাইকে এক কাতারে এনেছে




সরকার পতনের আন্দোলনে ঐক্যের আহ্বান নিয়ে এক টেবিলে বসেছে বিএনপি এবং দেশের ডানপন্থী ও বামধারার কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আহ্বানে অনুষ্ঠিত সংলাপে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন, সরকার পতন ও রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে নেতারা একমত হয়েছেন।


বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এর আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংলাপের শেষ দিকে বলা হয়, অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন সংলাপে।


সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশ, গণফোরামের একাংশ, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, ভাসানী পরিষদ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ।


আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদ নির্বাচনের দিন সবাইকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সংলাপের শেষে এ আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো ইসলামি দল জালেম সরকারের সঙ্গে হাত মেলাবেন না। স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীরা নীলনকশার নির্বাচনে যাবেন না।’ তিনি বলেন, সংলাপ শুরুর আগেও উপস্থিতি নিয়ে সংশয় ছিল। সবাইকে দেখে বুক ভরে গেল। সবার মতামত পাওয়া গেল। অচিরেই করণীয় উপস্থাপন করা হবে।


সংলাপের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা পূরণের দায়িত্ব ইসলামী আন্দোলনকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম আজ বাম–ডান সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। মজলুমদের ঐক্য হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বস্ত নেতৃত্ব চায়, এ দায়িত্ব নিতে হবে।’


জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ইতিমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়ে গেছে। সবাই এখানে একত্র হয়েছে। তিন বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী একসঙ্গে ডাক দিলে একাত্তরের মতো সবাই নেমে আসবে সরকারের বিপক্ষে।


প্রথমবারের মতো ইসলামি দলের সভায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঘরে যখন আগুন লাগে, তখন শুধু ঘরের লোক নয়, পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে ডাকতে হয়। দেশে আগুন লেগেছে বলেই প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ইসলামি ধারার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সরকারকে বড় একটা ধাক্কা দেওয়া দরকার, যেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভূমিকা রাখতে পারে।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ভোটের মর্যাদা না রাখায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবাই নেমেছিল। এ সরকারের বিরুদ্ধেও যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। এমনিতেই চড়া দামের জন্য বাজারে যাওয়া যায় না। অর্থনৈতিক অবরোধ এলে দেশের জনগণ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, দেশের জন্য, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, মানবাধিকারের জন্য দেশের বাম ও ডান এক টেবিলে বসাটাই একটি বড় বিষয়। সরকার উৎখাতে যা করা লাগবে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করতে হবে।


এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দুই কারণে ঐক্য হয়। একটি হলো লাভের জন্য, অন্যটি ভয় থেকে। মানুষকে তার অধিকার হারানোর বিষয়টি হয়তো বোঝানো যাচ্ছে না। এক সপ্তাহের খোরাকি হাতে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিরোধ করা যায়নি। ২০১৮ সালে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে। এ সরকারের সঙ্গে সংলাপ করে কিছু হবে না। দল–মত সবাই মিলে রাজপথের আন্দোলনে নামতে হবে। না হলে কিছুই হবে না।


সংলাপ সঞ্চালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন এলডিপির মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, ভাসানী পরিষদের হাবিবুর রহমান, বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান মাদানী, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।


বক্তারা ঘরে বসে আলোচনার চেয়ে রাজপথের আন্দোলনকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, সরকারি দল নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দিচ্ছে। সাজানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তাই সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। রাজপথে শক্ত আন্দোলন করতে না পারলে ‘ফ্যাসিবাদের’ পতন হবে না।


এর আগে সংলাপের শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এতে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো, ‘বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত একতরফা’ তফসিল বাতিল করে গ্রেপ্তার বিরোধী–দলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। দ্বিতীয়টি হলো, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর তৃতীয় প্রস্তাব, কার্যকরী সংসদ, রাজনৈতিক সংহতি এবং শতভাগ জনমতের প্রতিফলনের জন্য সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন।


লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, একতরফা নির্বাচন নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করার জন্য বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকার। বাংলাদেশের বিরোধী দল নির্বাচনের আগে চরম দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, শত শত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, গায়েবি মামলা ও বিরোধী দলের মৃত ব্যক্তির নামে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। জেলখানার ধারণ ক্ষমতার তিন গুণ আসামি কারাগারে বন্দী। এটি সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী, অমানবিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ।

ইসলামী আন্দোলনের অভিযোগ, সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।


সুত্রঃ প্রথম আলো

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুললেন মাহিয়া মাহি

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুললেন মাহিয়া মাহি

 

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুললেন মাহিয়া মাহি




দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ আসন (গোদাগাড়ী-তানোর) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। 

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে মাহির পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন তার ভগ্নিপতি জামাল হোসেন।

সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মাহি নিজেই। তিনি বলেন, 'তানোর ও নাচোল দুটোই আমার এলাকা। নাচোলে বাবার বাড়ি হলেও নানীর বাড়ি সূত্রে তানোরেও আমার বাড়ি আছে। আমি দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় কাজ করেছি। বিভিন্নভাবে এলাকার মানুষের সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। তাই রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছি।' 

জানা গেছে, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া। তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

মাহি এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। এই আসনে নৌকার টিকিট পেয়েছেন জিয়াউর রহমান। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী-১ থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করলেন মাহি।

তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, রাজশাহী-১ আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহী ও বিএনএমএর সামসুজ্জোহা-এই দুইজন মনোনয়ন ফর্ম উত্তোলন করেছেন।

এর আগে ২০২২ সালে এই একই আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাহি। সেবারও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানকে।

সুত্রঃ ইত্তেফাক

মাহিয়া মাহিনির্বাচন

নির্বাচনে বাইরের থাবা পড়েছে, যা দুর্ভাগ্যজনক: সিইসি

নির্বাচনে বাইরের থাবা পড়েছে, যা দুর্ভাগ্যজনক: সিইসি

 

নির্বাচনে বাইরের থাবা পড়েছে, যা দুর্ভাগ্যজনক: সিইসি




আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বাইরে থেকেও ‘থাবা’ পড়েছে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (বিদেশি শক্তি) থাবা বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, অনেক কিছুই রক্ষা করতে হলে এই নির্বাচনটাকে ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল করতে হবে।’

সোমবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।


কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে এখন যে বিতর্ক, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচনের ফেয়ারনেসকে উপলক্ষ করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিভক্ত হয়ে গেছে, এটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না।’

‘যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আমাদের কমান্ড করতে পারে, আমরা তাদের পাল্টা সেভাবে কমান্ড করতে পারি না’ মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘আমাকে বাঁচাতে হলে, আমার জনগণকে বাঁচাতে হলে, আমার গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে, আমার সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে, যে দাবিটা আমাদের জনগণের এবং পাশাপাশি বাইরের (বিদেশিদের)... ওরা খুব বেশি দাবি করেনি, ওদের একটাই দাবি যে— বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার হতে হবে। কোনোরকম কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা চোখে দেখা যায় না। এক্ষেত্রে পাবলিক পারসেপশন জরুরি। জনগণকে বলতে হবে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে। সাধারণভাবে জনগণ যদি এটি বলে, তাহলে সেটি হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’

এসময় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বিচারকদের সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান সিইসি।


সুত্রঃ banglatribune

নির্বাচন কমিশনসিইসিজাতীয় সংসদ নির্বাচন

সরকারের কোনো কৌশলই টিকবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ

সরকারের কোনো কৌশলই টিকবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ

 

সরকারের কোনো কৌশলই টিকবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ




নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনো কৌশলই টিকবে না বলেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।


নেতারা বলছেন, সরকার এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে পারছে না। এই সরকারের খেলা শেষ হয়েছে।


আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেছেন।


সপ্তম দফা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা এই সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের আগে তাঁরা ঢাকার সেগুনবাগিচা, নাইটিঙ্গেল মোড়, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় মিছিল করেন।

আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ নির্বাচনে যাচ্ছে না মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে স্বতন্ত্রও দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। দলই মনোনয়ন দেবে, আবার দল থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী দেবে। তাহলে এটা কি কোনো ভোট হবে?’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, এটা তাঁদের একটা কৌশল। এদের সবকিছুই কৌশল, অপকৌশল।’

সারা দেশের মানুষ রাজপথে যে রকম করে নেমেছে, আন্দোলন যে রকম করে চলছে, তাতে সরকারের কোনো কৌশল টিকবে না বলে মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান।


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ কোনো মাফিয়া ও সিন্ডিকেট প্রধানকে এবার আওয়ামী লীগ মনোনয়নের বাইরে রাখেনি। দু-একজন নীতিভ্রষ্ট মানুষ ছাড়া বিরোধী শিবিরের কাউকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নিতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের মধ্যে বিরাট হতাশা তৈরি হয়েছে। ভেবেছিল, বিএনপিকে ভেঙে খানখান করে দেবে। বিএনপি নেই, তৃণমূল বিএনপি আছে—এ কথা বলে বিএনপি থেকে নেতা–কর্মীদের ভাগিয়ে আনবে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’


এই সরকারের অধীন নির্বাচনে যাওয়ার জন্য কেউ মনোনয়ন নিলে তাঁরা বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হবেন বলে মন্তব্য করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম। বর্তমান সরকার ১৫ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ।


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক এস এম রুবেল।


সুত্রঃ প্রথম আলো


আওয়ামী লীগ ‘এমপি’ পদ বণ্টনের হাট বসিয়েছে: রিজভী

আওয়ামী লীগ ‘এমপি’ পদ বণ্টনের হাট বসিয়েছে: রিজভী

 

আওয়ামী লীগ ‘এমপি’ পদ বণ্টনের হাট বসিয়েছে: রিজভী




সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বণ্টনের জন্য আওয়ামী লীগ গণভবনে হাট বসিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো কিছু সুবিধাবাদী রাজনীতিককে নির্বাচনে দাঁড় করাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

রুহুল কবির রিজভী আজ সোমবার বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি আগামী বুধবার অবরোধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেন।


বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে বিকল্প (ডামি) প্রার্থী রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। রিজভী বলেন, ‘এর মানে নৌকা বনাম আওয়ামী লীগ, নিজেরা নিজেরাই। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে যেন এ রকম—আমি, আমরা আর মামুরা। নির্বাচন হবে আমি আর মামুদের মধ্যে। পাতানো ম্যাচ খেলব দুজনে—তুমি আর আমি। সাইড লাইনে থাকবে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা ভুঁইফোড় পার্টির নেতারা। দেশি-বিদেশিদের আইওয়াশ করতে নিজেরা নিজেরা লোকদেখানো প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।’


রিজভী অভিযোগ করেন, নির্বাচনী নাটকের নামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের তৈরি করা সংসদ সদস্যের তালিকায় বৈধতার সিলমোহর দেওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত। আতঙ্কিত হয়ে তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বলেছেন, বিদেশি শক্তির থাবা পড়েছে বাংলাদেশে। তাদের থাবা থেকে দেশের অর্থনীতি ও পোশাকশিল্পকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। গ্রহণযোগ্য ভোট করতে না পারলে বিপদ!


রিজভী বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরার জন্য বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের না পেলে বাবা, ভাই, আত্মীয়স্বজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, গতকাল বিকেল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৫ জন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ১৩টি মামলায় ১ হাজার ৪৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দলের পক্ষ থেকে আগামী বুধবার অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বুধবার ভোর ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করা হবে।


সুত্রঃ প্রথম আলোর